র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে কথিত চার সাংবাদিক ও এক স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তকারী যুবকের নামে থানায় মামলা হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের চরহুগড়া গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদি হয়ে শুক্রবার(৫ জুন) রাতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন, টাঙ্গাইল সিটি প্রেসক্লাব নামীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের প্রভাত পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি এসএম আতোয়ার রহমান, সহ-সভাপতি ও দৈনিক আমার সময় পত্রিকার প্রতিবেদক মো. আলমগীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক ও দৈনিক জনতার কথা পত্রিকার

প্রতিবেদক জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক ও সাপ্তাহিক ইনতেজার পত্রিকার প্রতিবেদক মো. সবুর মিয়া। তারা সাংবাদিক নন এমন কিছু লোকজন নিয়ে সিটি প্রেসক্লাব নামক একটি সংগঠন গড়ে তুলে সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মামলায় ওই ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার মেয়েকে স্কুলের যাওয়া-আসার পথে একই গ্রামের রেকাত মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (২২) উত্যক্ত করে এবং প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়ে তার মেয়ে তাদেরকে জানালে তারা ফারুকের বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।

তারপরও গত ৩০ মে দুপুরে এক প্রতিবেশির মাধ্যমে ফারুক তাদের (ওই স্কুল ছাত্রী) বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়। তারা এ প্রস্তাব নাকচ করে দেন। পরদিন ১ জুন আতোয়ার, জহিরুল, আলমগীর ও সবুর ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে নিজেদের র‌্যাব ও সাংবাদিক পরিচয় দেন। তারা ফারুকের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দেন। বিয়ে না দিলে ওই ছাত্রীর ক্ষতি করবে বলে তার ছবি তোলে ও ভিডিও ধারণ করে।

এক পর্যায়ে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় ওই ছাত্রীর বাবা-মা তাদের দশ হাজার টাকা দেন। তারা বাকি ৪০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে চলে আসে।

পরে ওই মেয়ের বাবা-মা টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার এবং টাঙ্গাইলে দায়িত্বরত র‌্যাবের কোম্পানী কমান্ডারের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন।

শুক্রবার(৫ জুন) রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে উত্যক্তকারী ফারুক এবং চাঁদা নেয়ায় কথিত চার সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর মোশারফ হোসেন মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

র‌্যাব-১২ এর সিপিসি-৩ কোম্পানীর কমান্ডার মেজর আবু তালাত নাঈম জানান, তারা র‌্যাব পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। র‌্যাব পরিচয় দেয়ার সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে