আজ- ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার  সকাল ৯:০৩

লাকি বিড়ি ফ্যাক্টরীর ১৭৫ শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পেল

 

দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলে বন্ধ হয়ে যাওয়া(লেঅফ ঘোষণা) মেসার্স লাকি বিড়ি ফ্যাক্টরীর ১৭৫ জন শ্রমিক তাদের ক্ষতিপূরণের ১২ লাখ টাকা বুঝে পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার(১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা শ্রমিক ফেডারেশন কার্যালয়ে ওই ক্ষতিপূরণের টাকা শ্রমিকদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ১৭৫জন শ্রমিক জনপ্রতি ৬ হাজার ৮৫০ টাকা করে ক্ষতিপূরণের টাকা পান।

জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া, যুগ্ম-সম্পাদক উদয় লাল গৌঁড় ও মাহবুবুর রহমান খান বিপ্লব ওই ক্ষতিপূরণের টাকা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেন।

এ সময় মেসার্স লাকি বিক্রি ফ্যাক্টরী মালিক মো. শাহজাহান মিয়া, জেলা বিড়ি শ্রমিক সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেসার্স লাকি বিড়ি ফ্যাক্টরীর মালিক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, গত নভেম্বর থেকে সপ্তাহে চারদিন কাজের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে শ্রমিকরা।

দাবিপূরণে তারা ব্যর্থ হওয়ায় গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফ্যাক্টরীর সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা(লেঅফ) করা হয়।

এরপরও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের দাবি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে বন্ধ ফ্যাক্টরীর ১৭৫জন শ্রমিকের প্রত্যেককে ৬ হাজার ৮৫০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২৫ পিসের এক প্যাকেট বিড়ি বিক্রির সরকার নির্ধারিত দাম ১৮ টাকা। ওই প্যাকেটের গায়ে লাগনো সরকার নির্ধারিত রাজস্ব আদায়ের একটি ব্যান্ডরোলের দাম ৯.০৪ টাকা। এরপর রয়েছে শ্রমিক মজুরি।

বর্তমানে টাঙ্গাইলের বাজারে এক প্যাকেট বিড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০টাকায়। এত কম টাকায় তার ফ্যাক্টরীতে বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রি সম্ভব নয় বলেই তিনি ফ্যাক্টরীর কার্যক্রম বন্ধ করেছেন।

জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খান বিপ্লব বলেন, ফ্যাক্টরী বন্ধ হওয়া স্বত্তেও কোন মালিক শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দেয় এটা নজির বিহীন ঘটনা।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে মরহুম জয়নুল আবেদিন টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া এলাকায় মেসার্স লাকি বিড়ি ফ্যাক্টরীর কার্যক্রম শুরু করেন।

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করেছে

 
 
 
 
 

ব্যবস্থাপনা পরিচালক : মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল
আশ্রম মার্কেট ২য় তলা, জেলা সদর রোড, বটতলা, টাঙ্গাইল-১৯০০।
ইমেইল: dristytv@gmail.com, info@dristy.tv, editor@dristy.tv
মোবাইল: +৮৮০১৭১৮-০৬৭২৬৩, +৮৮০১৬১০-৭৭৭০৫৩

shopno